ডাক্তার শব্দটার সাথে আমার সম্পর্ক খুব ছোটবেলা থেকেই। আব্বুর স্থেটেস্কোপ বুকে লাগিয়ে লাব-ডাব শোনা, মুখের কাছে এনে মাইক্রোফোন আর হেডফোন হিসেবে খেলা, স্ফিগ্মোম্যানোমিটার চাপ দিয়ে দিয়ে ফুলে তোলা, আব্বুর কাছে প্রেশার মাপা শিখে নেওয়া এসবই আমার চিকিৎসাবিজ্ঞানের দিকে ঠেলে দেয়। এর পর ছিল আমার মায়ের এক বুক ভরা স্বপ্ন। ক্লাস ১-২ থেকেই আমাকে যেমন খুশি তেমন সাঁজ প্রতিযোগিতায় ডাক্তার বানিয়ে দিতেন। কত কী করে যে আমার মাপের আপ্রোন খুঁজে বের করতেন। সে এক হুলস্থুল কারবার। প্রতিযোগিতার আগে আব্বু আমাকে বিপি কী, জ্বর হলে কী ঔষধ খেতে হয় তা শিখিয়ে দিতেন। আমার এসবে উত্তেজনা থাকতো চরমে। কী মজা! আমি ডাক্তার! কিন্তু এখন যখন ঐ দিনগুলোর কথা ভাবি তখন বুঝতে পারি এর পিছনে আমার বাবা-মার কত আশা, কত স্বপ্ন জড়িয়ে আছে। আর এখন এর সাথে মিশেছে আমার স্বপ্ন। ডাক্তার হব! হতেই হবে! কেন হতে হবে? বাবা-মার আশা পূরণ করতে হবে। হাসপাতালের নানা অনিয়ম দূর করতে হবে। যখন দেখি লাইনে দাঁড়ানোর পরেও কেউ উড়ে এসে ঝুড়ে পরে ডাক্তারের কামড়ায় ঢুকে পরে তখন মনে হয় ডাক্তার হতেই হবে। যখন দেখি ডাক্তার ইচ্ছে মত ঔষধ লিখেই যাচ্ছেন অথচ ব্যক্তিগত চেম্বারে অন্...
Comments
Post a Comment