মাসুদ রানা কৃষ্ণপক্ষ সারাংশ

মাসুদ রানা কৃষ্ণপক্ষ উপন্যাসটি মাসুদ রানা সিরিজের একটি উপন্যাস। উপন্যাসটি নিয়ে আমার রিভিউ আছে চাইলে এখানে ক্লিক করে দেখে আসতে পারেন। আমার এই লেখাটিতে আমি চেষ্টা করব উপন্যাসটি সংক্ষেপে তুলে ধরা। তবে আমার উপদেশ থাকবে আপনারা নিজে থেকে উপন্যাসটির পড়বেন। এবার মূল বিষয়ে আসা যাক।

© The Daily Star

সারাংশ:


উপন্যাসটির শুরুর দিকে মাসুদ রানা যুক্তরাজ্যে তার ছুটি কাটাতে যায়। এ সময় একজন বাঙালি বিজ্ঞানীর খুনিকে দেখে তার সন্দেহ হয়। এরপর বিসিআই এর প্রধান রাহাত খান তাকে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে যেতে বলেন। তার আদেশে মাসুদ রানা সেখানে যায়। সেখানে গিয়ে সে এক এফবিআই এজেন্টের হত্যার সন্দেহে ধরা পরে। এরপর রাহাত খানের হস্তক্ষেপে তাকে রাহাত খানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। মাসুদ রানা রাহাত খানের সাথে মার্কিন রণতরীতে দেখা করে। সেখানে রাহাত খান তাকে তার পরবর্তী মিশন সম্পর্কে জানায়। 
মাসুদ রানা জানতে পারে তাকে এক দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীকে ধরতে হবে যে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় গবেষণায় কমর্রত বিজ্ঞানীদের অপহরণ করেছে এবং এ বিজ্ঞানীদের মধ্যে প্রায় সবাই বাংলাদেশী। সে আরো জানতে পারে যে এর পেছনে অনেক বড় হাত আছে। এছাড়াও সে জানতে পারে এই দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী চ্যাং লি মার্কিন শেয়ারবাজারকে ধ্বংস করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র একসাথে কাজ করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের রণতরীতে মাসুদ রানার সাথে কিছু অফিসারদের দেখা হয়। পরবর্তীতে তারা সবাই এই মিশনে অংশ নেয়। 
চ্যাং লি গবেষণার ত্বত্ত বিজ্ঞানীদের কাছ থেকে বের করে নেয়। সে এই তত্ত্ব চীনের কাছে বিক্রি করে দিতে চায়। এর জন্য চীন তাদের দুজনকে যুক্তরাষ্ট্রের পাঠায়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগ তাদের আগেই ধরে ফেলে। এমতাবস্থায় রাহাত খানের নির্দেশে মাসুদ রানা এবং ইউএস নেভীর একজন মহিলা অফিসার সেই দু'জন এজেন্টের বেশ নিয়ে চ্যাং লি এর কাছে উপস্থিত হয়। চ্যাং লি অত্যন্ত সতর্কতার সাথে তাদের তার আস্তানায় নিয়ে যায়। সেখানে মাসুদ রানা করছে পরিস্থিতির ভয়াবহতা উপলব্ধি করে অবাক হয়। পরবর্তীতে সে ত্বত্ত উদ্ধারের চেষ্টায় লিপ্ত হয়ে পড়ে। এরপর আরও কিছু ঘটনা ঘটার পরে মাসুদ রানা এক দুর্ধর্ষ পরিস্থিতির সামনে পড়ে। কিন্তু এর মাঝেই মাসুদ রানা রাহাত খানকে চ্যাং লি এর অবস্থান জানায়।
মাসুদ রানা চ্যাং লি এর হাতে ধরা পড়ে। মাসুদ রানার কাছ থেকে তথ্য বের করে না নিতে পেরে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় চ্যাং লি। কিন্তু মাসুদ রানার সহযোগীদের সাহায্যে মাসুদ রানা বেঁচে যায়।
এর মাঝেই ইউএস নেভীর বিশেষ বাহিনী চ্যাং লি এর আস্তানায় হামলা চালায়। কিন্তু চ্যাং লি চীনের গোয়েন্দা প্রধানকে নিয়ে পালাতে সক্ষম হয়।
এরপর মাসুদ রানা মার্কিন রণতরীতে ফিরলে সবাইকে ছুটি দেন রাহাত খান। এসময় মাসুদ রানা তার মহিলা সহযোগীকে নিয়ে মহিলা সহযোগীর বাসায় যায়। মাসুদ রানা বাসার বাইরে গেলে চ্যাং লি এফবিআই এর দুই এজেন্ট কে নিয়ে তার মহিলা সহযোগীকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
মাসুদ রানা ফিরে ঘটনা উপলব্ধি করে ক্ষোভে ফেটে পড়ে। পরবর্তীতে সে মার্কিন নৌবাহিনীর এক কমান্ডার এর সাথে চ্যাং লি কে ধরার মিশনে আবার নেমে পড়ে। চ্যাং লি কে চীনের গোয়েন্দা প্রধান এবং দুই এফবিআই এজেন্ট এর সাথে পাকড়াও করে মাসুদ রানা। কিন্তু ঘটনাক্রমে চ্যাং লি পালাতে সক্ষম হয়। তবে মাসুদ রানা তাকে ধরে ফেলে। চ্যাং লি হাল না ছেড়ে মাসুদ রানার সাথে ধস্তাধস্তি করে। এ অবস্থায় মাসুদ রানা আহত হয় এবং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে থাকে। কিন্তু মাসুদ রানা চ্যাং লি কে আহত করতে সক্ষম হয় এবং অবশেষে তাকে হত্যা করে। এদিকে এফবিআই এর দুই এজেন্ট ও চীনের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানও ধরাশায়ী হয়।
মাসুদ রানা কে কমান্ডার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়। এখানেই উপন্যাসের সমাপ্তি।

আমার রিভিউ এবং সারাংশ পছন্দ হলে উপরের সাবস্ক্রাইব বাটনে ক্লিক করে আপনার ইমেইল প্রদেশ করিয়ে সব সময় আমার সাথে থাকতে পারেন।
ধন্যবাদ।

Comments

Popular posts from this blog

সুন্দর এ বসুধা।